APY Yojana: ভারতের নাগরিকদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে এবং সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জোর কদমে অগ্রসর হচ্ছে ভারত সরকার। এই বিষয়ে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও (State Government) ।
বর্তমানে এমন একটি প্রকল্প চলছে যার মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে মাসে টাকা পাওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্র এক হাজার দুই হাজার নয় নগদ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শুরু হওয়া সব থেকে চর্চিত প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এমন ধরনের বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প
লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাধ্যমে প্রতি মাসে যা টাকা পেয়ে থাকেন সাধারণ মহিলারা, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এই প্রকল্পের নাম অন্তর্ভুক্ত করলে তার পাঁচ গুণ টাকা মিলবে প্রতিমাসে। অর্থাৎ এই প্রকল্পের গ্রাহকেরা ৫০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র পার্থক্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সাথে।
মহিলারা ষাট বছর পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডার এর টাকা পেলেও তারপরে রাজ্য সরকার আর কোনো রকম দায়িত্ব নেবেন না অর্থাৎ ৬০ বছরের পর কোনরকম টাকা পাবেন না মহিলারা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্পটি আলোচনা করা হচ্ছে, এখানে কিন্তু এই ঘটনা পুরোটাই উল্টো। প্রাথমিকভাবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনরকম ভাতা পাবেন না উপভোক্তারা। তবে ৬০ বছরের পরেই প্রতি মাসে নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টাকা সংযোগ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে চলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে রাজ্যের মহিলাদের প্রাথমিকভাবে কোনো রকম বিনিয়োগ করতে হয় না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচ্য প্রকল্পটিতে প্রথমে ১৮ বছর থেকে উপভোক্তারা ২১০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এইভাবে প্রতিমাসে একটা অংক বিনিয়োগ করতে হবে এই প্রকল্পে তবেই ৬০ বছর পরে প্রকল্পের সুবিধা হিসাবে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাওয়া সম্ভব।
আসলে এই প্রকল্প হল এক প্রকারের পেনশন প্রকল্প, যার নাম অটল পেনশন যোজনা (APY Yojana)। এই যোজনার মাধ্যমে ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সী প্রার্থীরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। নাম নথিভুক্ত করনের পর প্রতি মাসে ন্যূনতম ৮৪ টাকা করে জমা করতে হবে অটল পেনশন একাউন্টে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীরা চাইলে ৮৪ টাকার অধিক মূল্য জমা করতে পারবেন। তবে ৬০ বছর পর প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাওয়ার জন্য নূন্যতম ২১০ টাকা করে জমা করতে হবে।
এই প্রকল্পে আবেদন কীভাবে করবেন?
অটল পেনশন যোজনায় (APY Yojana) আবেদন করা খুবই সহজ। নিজের নিকটবর্তী যে কোন ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অথবা আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন একটি ব্যাংকে গিয়ে এই প্রকল্পের বিষয়ে বললেই অটল পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি আবেদন পত্র প্রদান করা হবে। সেই আবেদন পত্রটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করার পর ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসেই জমা করে দিতে হবে।
এইভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতেই আপনি আবেদন করে ফেলতে পারবেন। আবেদনের পর থেকে প্রতিমাসে আপনার নির্ধারিত টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিয়ে অটল পেনশন একাউন্টের জমা করে দেওয়া হবে। ভারতের সমস্ত ব্যক্তির ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতার কথা মাথায় রেখে শুরু হওয়া অটল পেনশন যোজনা (APY Yojana) একটি অভিনব প্রকল্প। তাই নিজের ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে পেনশন পাওয়ার জন্য এখনই এই প্রকল্পে আবেদন করে ফেলুন।