Budget: গত পরশু অর্থাৎ ২৩ শে জুলাই প্রকাশ্যে এসেছে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বাজেট। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন বাজেট পেশ হয়েছিল। তবে সামনে ছিল লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরই তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরপর থেকে একে একে সবটাই গুছিয়েছেন নতুন করে। নতুন পথ চলার অঙ্গীকার হিসেবে বাজেট পেশ করেছেন। এই বাজেটের মধ্যে উল্লেখ ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথাও। এই যোজনার অধীনে আরো তিন কোটি বাড়ি তৈরি করা হবে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
এই যোজনার আয়ু আরো বাড়বে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে মোট এক কোটি বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। গরিব মধ্যবিত্ত পরিবারকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ঘর দেওয়া হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট দশ লাখ কোটি টাকা।
সরকার ২.২ লক্ষ কোটি টাকার সাহায্য করবে এমনটাই জানানো হয়েছে নতুন বাজেটে। ইতিমধ্যেই এই খাতে বরাদ্দ করা হয়ে গিয়েছে বহু টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা।
শহর এবং গ্রাম অঞ্চল মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরো মোট ৩ কোটি ঘর বানানো হবে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তরফ থেকে এই ঘর দরিদ্র মধ্যবিত্ত পরিবাররা সকলেই পাবেন। এমনকি শহরবাসীরা এই সুবিধা থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত হবেন না।
কারা সুবিধা পাবেন?
যাদের পাকা বাড়ি নেই তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যদি বিপিএল কার্ড থাকে এবং দরিদ্র সীমার নিচে অন্তর্ভুক্ত থাকেন তাহলে পেয়ে যাবেন এই যোজনা সুবিধা। এই সুবিধা পেতে হলে নিজের আয় কম হতে হবে।
কারা কারা এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না?
যদি কোনও মানুষ নিয়মিত করদাতা হন, তাহলে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। এমন কি কোন কোম্পানির মালিকানা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় আসতে পারবেন না। এছাড়াও সরকারি চাকরিজীবী ইতিমধ্যেই যাদের রয়েছে পাকা বাড়ি তারাও এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন না। আয়কর ঝড়ের সীমার বাইরে, আয় হলে আপনাদের জন্য এই যোজনায় নাম নথিভুক্ত কোনওভাবেই করা যাবে না।।