Insurance Policy: যে কোনও মানুষই উপার্জন করার পাশাপাশি নিজেদের অর্থ সুরক্ষিত করে রাখতে চান। আজকালকার যুগে সঞ্চয় করা কিংবা আর্থিক বিনিয়োগ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিভিন্ন বীমা পলিসিগুলো। ২০২০ সালে করোনা মহামারী চাক্ষুষ দেখার পর সেই সময় মানুষেরা এই বীমা পলিসি থেকেই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন এমনটাই তথ্য বলছে।
গ্রাহকরা সাধারণত যে সমস্ত সংস্থাগুলি বিভিন্ন বীমা পলিসি পরিচালনা করেন তাদের থেকে বিভিন্ন ধরনের বিমার পরিকল্পনা কিনে নিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি বীমা পলিসি ক্রয় করার পর পরই গ্রাহকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হতাশা কাজ করে।
সময়ের সাপেক্ষে এবং বিভিন্ন বয়সের ভিত্তি অনুযায়ী বিভিন্ন বীমা পলিসি পরিবর্তন করা উচিত এমনটাই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ব্যাপারে অনেকেই ভুলে যান। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের বয়ান অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বীমা পলিসির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন প্রকাশে আসে। যেহেতু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষেরও চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তাই সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই বীমা পলিসিগুলোর সাধারণত ডিজাইন করে রাখা হয়।
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কোন বয়সের জন্য কোন বীমা পলিসি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! তরুণ প্রজন্মের জন্য কোনটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর কিংবা তার পরের মানুষদের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর কোনটি? আসুন আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেব।
তরুণ প্রজন্মের জন্য বীমা পরিকল্পনা
সাধারণত ২০ বছর থেকে ২৫ বয়সের মধ্যে একজন ব্যক্তি উপার্জন করা শুরু করেন। এরপর থেকে নানা রকম বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করতে থাকেন তাঁরা। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি বীমা পরিকল্পনাও তাঁরা করে থাকেন। নিজেদের কর্মজীবনে উন্নতি করার সঙ্গে সঙ্গে এই সময় পরিবারের দায়িত্ব নিতে শেখে প্রত্যেকে। তাই প্রথমেই মাথায় আসে স্বাস্থ্য বীমা গ্রহণ করার পরিকল্পনা।
বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরিতে যোগদান করার পরেই দুই চাকা কিংবা চার চাকা গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করেন। তাই কোনও রকম ভাবে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় ব্যক্তিগতভাবে তাহলে একমাত্র এই বীমা পলিসি গুলোই বাঁচাতে পারে।
মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের জন্য বীমা পরিকল্পনা
যৌবন ছেড়ে যখন বার্ধক্যের দিকে প্রত্যেকেই এগিয়ে চলেন তার মধ্যেই আসে মধ্যবয়সী সময়কাল। এই সময় একটি ব্যক্তির জীবনে একাধিক পরিবর্তন আসে। সাংসারিক দায়িত্ব থেকে শুরু করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং সন্তানদের দায়িত্ব তখন প্রধান হয়ে ওঠে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন এই বয়সে বীমার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি অনুভব করেন। ব্যক্তির উচিত পরিবারের সমস্ত সদস্যকে এই বীমা পরিকল্পনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করানো।
এছাড়াও এই বয়সে মানুষের ঝোঁকেন বাড়ি কিনে রাখার দিকে। কিংবা দেখা যায় অনেকেই লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করছেন সেই জন্য হোম লোন কভার করার জন্য বীমা পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
মধ্য বয়সের পরে বীমা পরিকল্পনা
বিভিন্ন সাংসারিক দায়িত্বেও পালন করার পর আস্তে আস্তে ব্যক্তিরা প্রবেশ করেন বার্ধক্যের দিকে। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা চেপে বসতে থাকে। সময় মতো লোন পরিশোধ করা এবং আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হওয়া এই সময় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। চিন্তা করতে হয় সন্তানদের উচ্চশিক্ষা বিষয়।
যার ফলে বৃহৎ আয়ের পরিকল্পনা হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করা শুরু করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে টার্ম ইন্সুরেন্স গুলি যে সমস্ত ব্যক্তিরা চালিয়ে যান তারা খুব বেশি পরিমাণে উপকৃত হন। তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পেনশন প্ল্যানের পরিকল্পনা। যারা আগে থেকেই এই পেনশন প্ল্যানের পরিকল্পনা করে থাকেন তারাও ভবিষ্যতে গিয়ে অনেকটাই আর্থিক সুরক্ষা পান। এর পাশাপাশি এই বয়সের জন্য মেডিকেল ইন্সুরেন্সও ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন বয়সের কথা মাথায় রেখে এবং বিভিন্ন চাহিদার কথা মাথায় রেখে বীমা পরিকল্পনাগুলি গ্রহণ করলে নিজেদের জীবনকে সারা লাইফের জন্য আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করা যায়। যেকোনো জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে এই বীমা পরিকল্পনাগুলি আর্থিকভাবে অনেকটাই নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
এই সমস্ত ইন্সুরেন্স পলিসি নিয়ে আর বিভ্রান্ত না হয়ে এখনই ঠান্ডা মাথায় ঠিক করে নিন আপনি কোন বয়সে কোন বীমা পরিকল্পনার আওতায় আসবেন।