Pharmacy Business: বর্তমানে প্রচুর মানুষ সরকারি বা বেসরকারি কোনরকম চাকরির ওপর ভরসা না করে অল্প কিছু মূলধন বিনিয়োগ করে নতুন ব্যবসা শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে যেহেতু ক্ষতির একটি বড় আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এমন কিছু ব্যবসা শুরু করা উচিত যেখানে মানুষের প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ হতে পারে। এমনই একটি অভিনব ব্যবসার উপায় হল ফার্মেসি বিজনেস বা ওষুধের দোকান খোলা।
বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধির যেমন চিকিৎসা বেরিয়েছে তেমনি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের অসুখের প্রবণতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে বর্তমানে যে অসুস্থতা প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়েছে তা হলো ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস। যার ফলে খুবই অল্প বয়স থেকেই যুবক যুবতীদের নিজেদের শরীরকে সুস্থ করে তোলার জন্য বিভিন্ন ওষুধের সহায়তা নিতে হয়।
সেই কারণে মানুষের ফার্মেসি (Pharmacy) দোকানগুলির উপর নির্ভরতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সুতরাং এই বিষয়কে মাথায় রেখে যদি ওষুধের দোকান খোলার ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু এবার প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ওষুধের দোকান খুলবেন?
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ওষুধের কোম্পানি জনপ্রিয় হয়েছে তবে সবথেকে সহজে এই ব্যবসা শুরু করার অন্যতম উপায় হল প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র খুলে ব্যবসা শুরু করা। এক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসা শুরু করতে হবে না। শুধুমাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে আবেদন করলেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী জন ওষুধের কেন্দ্র
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র একটি অন্যতম প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের কোনায় কোনায় সুলভ মূল্যে ওষুধ বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষেরা ন্যায্য দামে বিভিন্ন বড় বড় অসুখের ওষুধ পেয়ে থাকেন। বর্তমানে প্রধান মন্ত্রীর এই প্রকল্প অন্যতম জনপ্রিয় এক প্রকল্প।
সারা দেশ জুড়ে প্রায় ১০,০০০ এরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আপনিও একটি মাত্র আবেদনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের অংশ হয়ে উঠতে পারেন। এই বিষয়ে আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য নীচে উল্লেখ করা হল।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা :
১) প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করা সম্ভব।
২) এক্ষেত্রে আবেদনের মূল্য হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা জমা করতে হবে।
৩) এর পাশাপাশি আবেদনকারীর ডি.ফার্মা বা বি.ফার্মা সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক।
৪) ওষুধের দোকান খোলার জন্য ন্যূনতম ১২০ বর্গমিটারের জায়গা থাকতে হবে।
তাই আপনি যদি এই বিষয়ে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি আবেদন করে ফেলতে পারবেন। এই বিষয়ে আপনার যে কোন মন্তব্য আমাদের লিখে জানাতে পারেন। এর পাশাপাশি এমনই নিত্য নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য এই পেজটি নিয়মিত ফলো করুন।