Bangla Awas Yojana: আবার জনপ্রিয়তা বাড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তার শেখরে পৌঁছে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দেশের আনাচে-কানাচে। তার মধ্যেই এক নতুন প্রকল্প নিয়ে হাজির হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলার প্রচুর মানুষের উন্নয়ন হতে চলেছে।
রাজ্যের উন্নয়নের দিকে সর্বদাই করা দৃষ্টিপাত দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সম্প্রতি কালে আর যে করেন ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছুটা জনপ্রিয়তা কমেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবে আবারো নিজের সেই জায়গা পাকাপোক্ত করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে আবাস যোজনা প্রকল্প।
Read More: BLRO অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ! প্রতিমাসে মাইনে ১৬,০০০ টাকা।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রচলিত রয়েছে সারা ভারতবর্ষে। কিন্তু বিগত ২ বছর ধরে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কোনরকম অর্থ পাঠানো হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকি কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যদি এখনো আবাস যোজনার বকেয়া টাকা পাঠানো না হয়। তাহলে রাজ্য সরকারই তার কোষাগার থেকে সেই অর্থ প্রদান করবেন সাধারণ জনগণকে।
বাংলার মাটিতে নিজেদের পাকা বাড়ি গড়ে তোলা মানুষের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেই কারণে এবার আর কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। কেন্দ্র থেকে ৮২০০ কোটি টাকা দুই বছর ধরে আটকে রয়েছে। তাই এবারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অনুরোধ একটি প্রকল্প আস্তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। যার নাম রাখা হবে ‘ বাংলার আবাস যোজনা ‘। তবে পরবর্তীকালে এই নাম পরিবর্তন করা হতে পারে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১১ লক্ষ পরিবারকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। যার জন্য ইতিমধ্যেই মূল্য ধার্য করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার পিছু মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পুরো টাকা মোট তিনটি কিস্তিতে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
প্রথম কিস্তি বাবদ ৬০ হাজার টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই উপভোক্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপরের কিস্তিতে ৪০ হাজার এবং শেষ কিস্তিতে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
এই খবরে রাজ্যবাসী অত্যন্ত খুশি হয়েছে। শহুরে এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার মানুষেরাও পাকা বাড়ি তৈরি করে নিজেদের জীবন যাপন সুগম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যাতে কোন রকম দুর্নীতি না হয় সেই দিকেও কড়া নজর রাখা হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।