HDFC BANK FD: মিউচুয়াল ফান্ডের মত রিটার্ন দিচ্ছে HDFC ব্যাঙ্ক! সুদের হার বাড়ালো ফিক্সড ডিপোজিটে।

HDFC BANK FD: রোজগার করা এবং তার সাথে রোজগারের (Income) – কিছু পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় (Money Savings) করা এই দুই কাজ সঠিকভাবে করতে পারলে সারা জীবনের যে কোন রকমের সমস্যার সমাধান করা সহজসাধ্য হয়ে ওঠে। দেশের প্রচুর মানুষ রোজগারের পাশাপাশি কম সময়ের মধ্যে প্রচুর অর্থ রোজগার করতে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ (Money Invest) করে থাকেন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ সংস্থায়।

এই সমস্ত ধুকিপূর্ণ সংস্থার মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund), শেয়ার ইনভেস্টমেন্ট (Share Investment) অথবা বিভিন্ন ধরনের চিট ফান্ড (Chit Fund)। এই সমস্ত সংস্থায় কষ্টের টাকা বিনিয়োগ করে এর আগেও বহু বার মানুষের কষ্টের টাকা আর ফেরত পাওয়া যায়নি।

এই কারণেই বহু মানুষ নিজেদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে এবং কষ্টার্জিত অর্থ যাতে ভুল সংস্থায় বিনিয়োগ না হয়, তার কারণে ভরসা করে থাকেন শুধুমাত্র ভরসাযোগ্য সরকারি (Govt Bank) অথবা প্রাইভেট ব্যাংক (Private Bank) গুলিকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই ব্যাংকগুলির পক্ষ – দেওয়া সুদের (Return on Interest) পরিমাণ অনেক কম হয়ে থাকে।

কিন্তু এইবার – আর কম সুদে নিজেদের রোজগার করার টাকা জমাতে হবে না। ভারতের নামকরা বেসরকারি ব্যাংক HDFC র পক্ষ – এবার বাড়িয়ে দেওয়া হলো সুদের পরিমাণ। এইচডিএফসি ব্যাংকে Fixed Deposite বা FD স্কিমে টাকা জমা করলে মেয়াদ শেষ হতেই চড়া সুদে প্রচুর টাকা রিটার্ন (Investment Return) হিসাবে পাওয়া যাবে।

তবে এইচডিএফসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। কিছু কিছু মেয়াদের ক্ষেত্রেই এই বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তাহলে আসুন কোন কোন মেয়াদে নিজেদের টাকা জমা করলে বেশি পরিমাণে সুদ পাওয়া যাবে তা জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সুদ দেওয়া হবে

মেয়াদসুদের পরিমান
৭ – ১৪ দিন অথবা ১৫ – ২৯ দিন৩ শতাংশ
৩০ – ৪৫ দিন৩.৫ শতাংশ
৪৬ দিন – ৬ মাস৪.৫ শতাংশ
৬ মাস – ৯ মাস৫.৭৫ শতাংশ
৯ মাস – ০১ বছর৬ শতাংশ
১ বছর – ১৫ মাস ৬.৬০ শতাংশ
১৫ মাস – ১৮ মাসে৭.১০ শতাংশ
১৮ মাস – ২১ মাসে৭.২৫ শতাংশ
২১ মাস – ২ বছর৭ শতাংশ

অন্যদিকে দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যেও সাধারণ নাগরিকদের তুলনায় আরও ০.২৫ শতাংশ বেশি হারে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ দেওয়া হবে। তাই এবার থেকে মোটা অংকের রিটার্ন পাওয়ার জন্য আর ঝুঁকিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন না করে নিজের ভরসার ব্যাঙ্কটিতে কষ্টার্জিত অর্থ জমা করতে পারবেন আপনিও।

Leave a Comment