Bank CSP এর দিকে ঝুকছেন। মূলত বাড়ির কাছাকাছি যে কোনও জায়গায় ব্যাংকের সিএসপি বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। এসবিআই কিংবা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সিএসপি আজকাল বেশি চোখে পড়ে রাস্তা ঘাটে। এখানে টাকা লেনদেনসহ ব্যাংকের মতোই যাবতীয় কাজকর্ম হয়ে থাকে।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জানাব সিএসপি কী জিনিস? কীভাবেই বা সিএসপি নেওয়া যায়! সিএসপি খুলে কীভাবে কত টাকা ইনকাম করা যায়? সব পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রইল আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনে।
CSP কি?
সিএসপির ফুল ফর্ম হচ্ছে, কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট। যাকে মিনিট ব্যাঙ্ক বলা যেতে পারে। এখানে কোনও অথরাইজড ব্যাংকের বিভিন্ন কাজকর্ম যেমন টাকা জমা দেওয়া টাকা তোলা ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করা পাস বই আপডেট করা, পাসবুক প্রিন্ট করা, চেক জমা ইত্যাদির মতো কাজগুলো করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্রাঞ্চের বিভিন্ন সিএসপি দেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হলে তবেই তিনি কোনও ব্যাংকের সিএসপি নেওয়ার যোগ্য হন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা- সিএসপি নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে যেকোন স্বীকৃত বোর্ড থেকে কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে হবে সাথে কম্পিউটার জানতে হবে।
ডকুমেন্ট কি লাগবে?
- ভোটার কার্ড।
- প্যান কার্ড।
- আধার কার্ড।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস।
- জায়গার কাগজপত্র।
- যদি ভাড়া ঘর হয় তাহলে তার রশিদ।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।
- দরকারি জিনিসপত্র।
- ২০০ থেকে ২৫০ বর্গফুটের স্থায়ী ঘর।
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।
- ইন্টারনেট কানেকশন।
- প্রিন্টার।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার।
- পাসবুক প্রিন্টার।
CSP থেকে ইনকাম
সিএসপি থেকে ইনকাম মূলত কমিশনের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। কমিশনের বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেমন-
১) টাকা তোলা এবং টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে 0.04 থেকে 0.06 শতাংশ হারে কমিশন পাওয়া যায়।
২) সারাদিনে যদি 1 লক্ষ টাকার লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে মোটামুটি 400 থেকে 500 টাকা অবধি ইনকাম করা যায়। একইভাবে দু’লক্ষ টাকার লেনদেন হলে 1000 টাকা অবধি ইনকাম করা যায়।
৩) ইন্সুরেন্স পলিসি, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, ফিক্সড ডিপোজিট, চেক ডিপোজিট, ব্যাংকের পাস বই আপডেট ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যাংক থেকে আলাদা করে কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে।
CSP খুলতে কত টাকা লাগে?
সিএসপি খুলতে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে আবেদনকারীকে। যার খরচ মোটামুটি 5,000 টাকা থেকে 7,000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, পাসবুক প্রিন্টার, ইন্টারনেট সেটা ইত্যাদির মতো এককালীন টাকা খরচ করলেই মোটামুটি সিএসপি খুলে নেওয়া যায়।
কীভাবে পাওয়া যায় সিএসপি?
কোন ব্যাংক থেকে সরাসরি সিএসপি দেওয়া হয় না। কোনও নির্দিষ্ট কোম্পানি সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় সিএসপি খোলার জন্য। সাধারণত ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছ থেকে সিএসপি প্রোভাইডার কোম্পানির সম্পর্কে জেনে নিয়ে তারপর সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
সিএসপি খোলার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবেই আবেদন করা যায়। সিএসপি খোলার জন্য অফলাইনে নেওয়াই ভালো।
প্রথমে ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে সিএসপি নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে হবে। তারপর তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখে তাকে বোঝাতে হবে সিএসপি খুলে কীভাবে আবেদনকারী তাকে সাহায্য করতে চায়। তবে খুব তাড়াতাড়ি সিএসপি অ্যাপ্রুভাল হওয়ার সুযোগ থাকবে।
ব্যাংকের ম্যানেজারের থেকে কোম্পানির নাম জেনে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যক্তি।