Sale Old Coin: 1992 সালের এই নির্দিষ্ট ভারতীয় দুই টাকার কয়েন বাড়িতে থাকলে আপনি হয়ে যাবেন প্রচুর টাকার মালিক। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেই ১৯৯২ সালের ভারতীয় দুই টাকার কয়েনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে। আসলে এই কয়েন বর্তমানে বিরল। বর্তমান বাজারে এর দেখা পাওয়া প্রায় মুশকিল। সেই কারণেই মাত্র ২ টাকার কয়েনের দাম ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি।
বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রকারের বিশেষ কয়েন বা টাকার নিলাম হয়ে থাকে। সাধারণত বিরল প্রকৃতির অথবা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এমন কোন টাকার নীরব হয়। পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এইরকম ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। অনেক সময় মাত্র ১০ কিংবা ২০ টাকার নোটের দাম হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
ফলতই, যেসব মানুষের বাড়িতে বিভিন্ন রকমের বিরল প্রকৃতির পুরনো কয়েন বা নোট থাকে, তাদের মধ্যে থেকে অনেকেই এই সমস্ত নিলামে অংশগ্রহণ করে এক ঝটকায় প্রায় কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। সারা পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ নিজেদের শখের জন্য এই ধরনের বিশেষ প্রকারের টাকা জমাতে পছন্দ করেন অথবা নিজের সংগ্রহে রাখতে চান।
অনেক সময় ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এমন টাকা পৃথিবীর বিভিন্ন মিউজিয়ামে রাখার জন্যও চাওয়া হয়ে থাকে। তবে এই টাকাগুলি এমনি এমনি কারোর থেকে কেনা হয় না। এই টাকা কেনাবেচার জন্য সকলের সামনে অকশন বা নিলাম করা হয়।
বিশেষ কিছু গুরুত্ব থাকলে অল্প কিছু টাকার দাম নিলামে উঠতে পারে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন সংগ্রহশালার কর্তৃপক্ষরা নিজেদের সংগ্রহে এই সমস্ত নোট বা কয়েন রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাই আপনার কাছে এই বিশেষ ধরনের ভারতীয় দুই টাকার কয়েন থেকে থাকলে আপনিও এমন সুযোগ পেয়ে যাবেন।
তবে যেকোনো টাকার ক্ষেত্রে এই ধরনের লাভ হওয়া যায় না। সেই টাকাকে অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে বিশেষ হতে হবে। বর্তমানে এমনই বিশেষ প্রকারের ভারতীয় দুই টাকার কয়েনের খোঁজ চলছে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার কাছে এই বিশেষ প্রকারের কয়েন আছে কিনা? এই বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য অবশ্যই নিচে দেওয়া বৈশিষ্ট্য গুলি ভালোভাবে পড়ে নিন।
১) ভারতীয় দুই টাকার কয়েনটি ১৯৯২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তৈরি হতে হবে।
২) এই কয়েনটি মূলত তামা ও নিকেল দিয়ে তৈরি। এর ওজন ছিল প্রায় 6 গ্রাম।
৩) ২৬ মিলিমিটারের এই কয়েনটি হেকটানগুলার পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিল।
৪) এই কয়েনের সামনের দিকে রয়েছে ভারতের মানচিত্র এবং পেছনের দিকে অশোক স্তম্ভের সঙ্গে দুই সংখ্যাটি লেখা রয়েছে।
৫) এই কয়েনের সামনের দিকে যেখানে ভারতের মানচিত্র খোদাই করা রয়েছে, তার তলাতেই দেখা যাবে কয়েন তৈরির সাল। এক্ষেত্রে কয়েন তৈরির সাল ১৯৯২ থেকে ২০০৪ এর মধ্যে হতে হবে।
এই ধরনের কয়েনগুলি সাধারণত বিভিন্ন মিন্ট থেকে বার করা হয়েছিল। এই সমস্ত মিন্টের কয়েনের দাম বৃদ্ধি পায়নি। আসলে বর্তমানে যে দুই টাকার কয়েনের চাহিদা বাজারে দেখা গিয়েছে সেই কয়েনগুলি হতে হবে নয়ডা মিন্টের। আপনার কাছে থাকা দুই টাকার কয়েন এই মিন্টের কিনা সেটি বোঝার জন্য কয়েনের সামনের দিকে থাকা সালের তলায় একটি চিহ্ন লক্ষ্য করতে হবে। এই কয়েনটি যদি নয়ডা মিন্ট থেকে প্রকাশিত হয়ে থাকে তাহলে সেই কয়েনের তলার দিকে ডট বা ফুলস্টপ এর মত চিহ্ন থাকবে।
আপনার কাছে যদি এই বিশেষ প্রকারের কয়েন থাকে, তাহলে অবশ্যই কলকাতা কয়েন ফেস্টিভলে গিয়ে এই ২ টাকা মূল্যের কয়েনটি বিক্রি করে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে দাম পেয়ে যাবেন। আপনার কাছে এই বিশেষ কয়েন থাকলে আমাদেরও কিন্তু কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।