Amul Franchise: এবার থেকে আর চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। মাস গেলে মিলবে লক্ষ লক্ষ টাকা। অন্যের অধীনে থেকে নয়, নিজের ব্যবসা শুরু করে নিজের ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে চান অনেকেই। বহু মানুষের সেই ইচ্ছাপূরণের জন্যই স্বনামধন্য এক কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। দুর্দান্ত এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি পুঁজিরও প্রয়োজন নেই। আপনাদের জন্য এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য আলোচনা করা হল।
কোন কোম্পানি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে? কীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন? কীভাবে আবেদন করবেন? এই ব্যবসায় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কত? কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে? কত টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারবেন? এছাড়াও ব্যবসা শুরু করার বিভিন্ন টিপস দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।
আমূল (Amul) কোম্পানি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে। আমূল কোম্পানির পক্ষ থেকে বর্তমানে দুই ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম স্কুপিং পার্লার বা Amul Ice Cream Parlour।
কীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য সবার আগে অবশ্যই আমূল কোম্পানির কাছ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নিতে হবে আপনাকে। এরপর নিজের বাড়িতে বা দোকানে আউটলেট খুলে আমুলের দুধ আর দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি করে সহজেই শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসার।
এই ব্যবসায় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কত?
বর্তমানে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী কোম্পানি হল আমূল। সারা দেশ জুড়ে প্রচুর মানুষ বহুবছর ধরে এই কোম্পানিকে ভরসা করে আসছেন। আমূলের দুধ যেমন জনপ্রিয়, তেমনই জনপ্রিয় এর দই, পনির, চিজ, আইসক্রিম ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার। কোভিড চলাকালীন যেখানে প্রচুর কোম্পানি ক্ষতির মুখে পড়েছিল, সেই সময়েও আমূলের লাভ হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই এই ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে।
Amul Outlet
এই দুটির মধ্যে নিজের পছন্দমত ফ্র্যাঞ্চাইজি বেছে নিয়ে আপনাদেরকে আমূলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করে নিতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়ে গেলেই জিনিস তুলে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে?
আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনরকম লাভ রাখছে না। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির গ্রাহককে কিছু টাকা সিকিউরিটি মানি হিসাবে ডিপোজিট করতে হবে কোম্পানির কাছে। এক্ষেত্রে আমূলের আউটলেটের জন্য ২০,০০০টাকা এবং আইসক্রিম স্কুপিং পার্লারের জন্য ৫০,০০০ টাকা জমা করতে হবে। এরপর অমুলের বিভিন্ন জিনিস যেমন, দুধ, দই, পনির, চকলেট ইত্যাদি কোম্পানির কাছ থেকে নিজের টাকায় কিনে নিতে হবে। সবমিলিয়ে মত ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেই শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা।
কত টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারবেন?
আমূলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে ব্যবসা করে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করলে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন পরিমাণে কমিশন। এছাড়াও নিজের বিক্রয়মূল্যের ওপর লাভ তো করবেনই। এইভাবে কোম্পানিকে মাসে ১০ লক্ষ টাকার লাভ করাতে পারলে ফ্র্যাঞ্চাইজির গ্রাহক লাভ হিসাবে পেয়ে যাবেন ১ লক্ষ টাকা।
এইবারে কিছু ব্যবসার টিপস জেনে রাখুন
১) প্রথমেই প্রচুর মাল কিনে ব্যবসা শুরু করতে যাবেন না। আগে অল্প পরিমাণে জিনিস তুলে কতটা বিক্রি হচ্ছে সেটা দেখে নিতে হবে। তারপর সময় বুঝে ব্যবসা বড় করতে পারবেন।
২) নিজের এলাকায় কোন জিনিসের চাহিদা বেশি, সেটা দেখে নিয়ে সেই মত ব্যবসা শুরু করুন।
৩) আমূল কোম্পানির জিনিসের পাশাপাশি অন্যান্য দ্রব্য তুলে বিক্রি করে সেখান থেকেও কমিশন লাভ করে নিতে পারবেন।