Renew Driving Licence After Expiry: ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়াল করার পদ্ধতি আজই জেনে নিন।

Renew Driving Licence After Expiry: ভারত সরকারের নিয়ম অনুসারে কোন যানবাহন কেনার সময় তার লাইসেন্স আপনাকে বানাতেই হবে। এবং তার মেয়াদ শেষ হলে সেই লাইসেন্সের রিনিউয়ালও খুব দরকারী। না হলে আপনি রাস্তাঘাটে আপনার বাহন নিয়ে বেরোতেই পারবেন না। সেইজন্য যারাই দু-চাকা হোক চার চাকা হোক যে বাহনই চালান না কেন তার একটা লাইসেন্স অবশ্যই সেই চালকের থাকতে হবে।

এইবার আপনি আপনার বাহনের লাইসেন্স তো একবার তৈরী করেছেন কিন্তু সেই লাইসেন্সের ভ্যালিডিটি কিছু দিন পরই শেষ হয়ে যাবে তখন আপনি কি করবেন? অবশ্যই আপনাকে আপনার লাইসেন্সটিকে রিনিউ করে আবার আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

এখন আপনাদের বলি, এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে রিনিউয়াল প্রক্রিয়া খুবই সহজভাবে অনলাইনে করা যাচ্ছে। পরিবহন দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে এই রিনিউয়াল খুবই সহজে উপলব্ধ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, আজ থেকেই আপনার কোন বাহন থাকলেই আপনি সহজেই অনলাইনে রিনিউয়াল প্রক্রিয়ার কাজ করে নিতে পারেন ঘরে বসেই।

Renew Driving Licence After Expiry

আগে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি এবং এর রিনিউয়াল করা সহজ কাজ ছিল না। যেখানে যেখানে এর পরিবহন দপ্তরের অফিস ছিল সেসব জায়গায় কেবল লাইসেন্স বানানো বা রিনিউয়াল করা হতো। তবে সেসবও সময় সাপেক্ষের ব্যাপার ছিল। আজ হতো না কাল এসো এইসব প্রক্রিয়াই চলতো আসল কাজ হতো না।

কিন্তু এখন আর সেসব আগের পদ্ধতি চালু নেই। এখন পরিবহন দপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়েই আপনি সমস্ত ইনফরমেশন বলুন আপনার গাড়ির কণ্ডিশন, কিভাবে গাড়ি আপনি সহজে চেক করে নিতে পারবেন এইসব কিছুই হয়ে যাচ্ছে নিমেষের মধ্যেই।

তাই গাড়ির লাইসেন্সের রিনিউয়ালও যে সহজভাবে হয়ে যাচ্ছে এবং বিনা পরিশ্রমেই এদিকে-ওদিকে না গিয়েই বাড়ি বসেই। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এইটাই যে রিনিউয়ালটা যেন ৩০ দিনের মধ্যে আপনি করে নেন। নাহলে অসুবিধা হতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন করবেন?

১. ড্রাইভিং লাইসেন্সের গুরুত্ব কতখানি তা আপনাকে বলে বোঝানোর দরকার নেই। ভারত সরকার দ্বারা তৈরি এর গুরুত্ব অনেকখানি, কি সেগুলি বুঝে নিন-

২. ভারত সরকার যে কোন বাহন আপনার দু-চাকা হোক চার-চাকা হোক বা অন্য কোন প্রকার বাহনই আপনার থাকুন না কেন সেটার লাইসেন্স থাকা আপনার কাছে আবশ্যক।

৩. সরকারী নিয়মানুসার, কোন ব্যক্তি বিনা লাইসেন্সে কোন প্রকার বাহন চালাতে পারবেন না। একমাত্র সাইকেল ছাড়া।

৪. সব রাজ্যের জন্য একই নিয়ম কিন্তু লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ভিন্নতা হতে পারে।

৫. ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে সাথে অন্য যেসব কাগজপত্র লাগে বাহন চালানো জন্য, সেইসব আপনার কাছে থাকাটা বাধ্যতামূলক। সমস্ত কিছু নথিপত্র থাকলে আপনাকে কোন অসুিধার সম্মুখীন হতে হবে না।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়ালের জন্য কোন অর্থ লাগে?

হ্যাঁ এটা সত্যি কথা যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনি রিনিউ (Renew Driving Licence After Expiry) করবেন অনলাইনে সেক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসারে আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করতেই হবে তবে এক্ষেত্রে বলে রাখি, সবার ক্ষেত্রে সমান নয় আলাদা-আলাদা হতে পারে।

অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে বলি, আপনি যদি এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিনের মধ্যে আপনার যানের লাইসেন্স রিনিউ করে নেন তাহলে আপনারা খরচা হবে মাত্র ৪০০ টাকা। সেক্ষেত্রে পুনরায় আবার লাইসেন্স সক্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এক বছর অর্থাৎ ১২ মাস পর রিনিউ করেন তাহলে আপনাকে ১৫০০ টাকার মতন লেট ফি দিতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার

ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্বন্ধিত অন্য অনেক কিছু আপনাকে জানতে হবে এর উপকারিতা যথা-

  • যেমন সরকারি আইন অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্য়ালিডিটি একজন ব্যক্তির ৪০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
  • একবার আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের রিনিউয়াল মানে আপনি ১০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে দিন কাটানো। ১০ বছর পর্যন্ত এর মান্যতা থাকে।
  • এরপর ঐ ব্যক্তিটিকে প্রত্যেক ৫ বছর পর পর নিজের লাইসেন্স রিনিউয়াল করানো দরকার হয়ে পড়ে।
  • লাইসেন্স রিনিউয়াল ছাড়া গাড়ি চালানো আইনি ক্ষেত্রে অপরাধ হয়। এবারে আপনি বুঝবেন কি করবেন, রিনিউয়াল করবেন না অপরাধ করে জেলে যাবেন।

Read More: গ্রাজুয়েট পাশে আহমেদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে লোক নিয়োগ! অফলাইনে আবেদন কর।

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউয়াল করাটা কতটা দরকারী?

  1. যে কোন ব্যক্তির মনে রাখা উচিত যদি তিনি এক বছরের মধ্যে নিজের গাড়ির লাইসেন্সের রিনিউয়াল না করেন সেক্ষেত্রে তার গাড়ির লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে।
  2. তাই অযথা হ্রাসমেন্টের মধ্যে না গিয়ে নিজের বাহনের লাইসেন্সের রিনিউয়াল (Renew Driving Licence After Expiry) করুন এবং সুখে জীবন যাপন করুন। আপনার পরিবারের সময়ে অসময়ে যদি কোন বিপদ-আপদ হয় বা মুর্মূর্ষু রোগী থেকে থাকে এবং আপনাকে নিজের গাড়ি করে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হয় তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন, কতটা দরকার আপনার চার-চাকার, দু-চাকার লাইসেন্সের রিনিউয়াল করানো।
  3. আর একবার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে সেটা পুনরায় তৈরি করা কতটা ঝক্কির বা ঝামেলার তা বোঝাই যায়। সেক্ষেত্রে অনেক টাকার ক্ষতি এবং সময় অপচয় হয় এবং আপনি নিজের গাড়িটা ঠিকমতো ব্যবহারও করতে পারবেন না।

পদ্ধতি (Renew Driving Licence After Expiry)

দেখে নিন, আপনি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে রিনিউ করবেন।

  • যদি আপনি মোবাইল করেন তাহলে সেখানে পরিবহন দপ্তরের ওয়েবসাইট পেজটা খুলুন।
  • হোম পেজে দেখবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা বলে একটা অপশন আছে সেখানে ক্লিক করুন।
  • এখানে দেখবেন যে পেজটা খুলবে সেখানে আপনি রিনিউয়াল অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
  • এরপর একটা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফর্ম পেজ খুলবে সেখানে সমস্ত ইনফরমেশন আপনাকে দিয়ে পূরণ করতে হবে।
  • ফর্মটা যেই পূরণ হয়ে গেল তারপর আপনার যে কাগজপত্র আছে যানবাহন সংক্রান্ত সেইসব কাগজপত্র আপলোড করতে বলবে, আপনি করে দেবেন।
  • এবার আপনার যতদিন আপডেট করতে সময় লাগলো সেই অনুসার অর্থ প্রদান করবেন।
  • তারপর ফাইন্যালি আপনাকে ফর্ম সাবমিট করে ফেলতে হবে।

Official Website: Visit Here

Leave a Comment